জলবায়ু পরিবর্তনের কারন?
উষ্ণনায়ন (আমাদের উষ্ণ কম্বল)
আমাদের বায়ুমন্ডল অনেকটা কম্বলের মতন যা আমাদের উষ্ণ রাখে। এতে উপস্থিত গ্রীনহাউস গ্যাস সূর্য-রশ্মিকে মহাশূন্যে (স্পেসে)ফেরত যেতে বাঁধা দেয়। যদি আমরা বায়ুমন্ডলে গ্রীনহাউস গ্যাসের পরিমান আরো বাড়িয়ে দিই তাহলে কী হবে? তাপমাত্রা আরো বেড়ে যাবে। যা এই মুহূর্তে ঘটছে।
গ্রীন হাউস গ্যাসের উৎস
বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালাতে, কল-কারখানার কাজে,গাড়ি জাহাজ ও মোটর বাইক চালাতে মানুষ জীবাশ্ম জালানী পোড়ায়। কৃষি-জমি পরিষ্কারের জন্য আমরা আগাছা পুড়িয়ে ফেলি। আর এসব থেকে উৎপন্ন হয় কার্বন-ডাই-অক্সাইড (Co2) নামে পরিচিত যা গ্রীন হাউস গ্যাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
আরো বেশ কিছু গ্রীন হাউস গ্যাস রয়েছে, যেমনঃ মিথেন, যা ফার্মের প্রাণিদের উদগীরনে উপস্থিত থাকে বা গ্যাস-পাইপলাইন থেকে উৎপন্ন হয়। আরো রয়েছে নাইট্রাস অক্সাইড যা কৃষিকাজে ব্যবহৃত সার থেকে উৎপন্ন। কিন্তু তেল, কয়লা ও গ্যাস থেকে উৎপন্ন কার্বন-ডাই-অক্সাইড সবচেয়ে বেশি সমস্যা তৈরি করে।
বলা বাহুল্য, এই গ্যাস অন্যান্য গ্যাস পরিমাপের ক্ষেত্রে বেঞ্চমার্ক হিসেবে বিবেচনা করা হয়। মানুষ সহ সকল প্রাণিদেরদেহ-গঠনে কার্বন-ডাই-অক্সাইডের ভূমিকা আছে। গাছপালা ও জলজ উদ্ভিদের সালোক-সংশ্লেষন প্রক্রিয়ায় এটি আটকা পড়ে। গাছপালা, জলজ-উদ্ভিদ ও সমুদ্র স্বাভাবিকভাবেই কার্বন-শোষন করে পরিবেশকে কার্বন-মুক্ত রাখে। উদাহরণ, কয়লা প্রাচীন গাছ হতে আর তেল প্রাচীন শৈবাল উৎপন্ন।
আমাদের প্রত্যাশা
উনিশ শতকের শিল্প-বিপ্লবের পর থেকে নতুন জমি তৈরির লক্ষ্যে আমরা প্রচুর জীবাশ্ম জ্বালানী পুড়িয়েছি। নিরাপদ থাকতে বায়ুমন্ডলে কার্বন-ডাই অক্সাইডের মাত্রা পার মিলিয়নে ৩৫০ (বর্তমানে যা ৪১০ পিপিএম) এ নামিয়ে আনতে হবে। এবং দেড় ডিগ্রীর বেশি তাপমাত্রা বর্জন করতে হবে (যা এখন ১ ডিগ্রী)।